নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার চাঁদমারি এলাকায় বিচার সালিশের কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ী পিচ্চি মানিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম। গত রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শরীফ, নাঈম ও শান্ত এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এবং মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদমারি এলাকার দাউদের পুত্র। গতকাল সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসান। সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হাসান বলেন, বিচার সালিশে মীমাংসার কথা বলে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী পিচ্চি মানিককে গত ২৪ জুলাই রাতে ফোন করে চাঁদমারি মাউরাপট্টি এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় শরীফ। এরপর পূর্বশত্রুতার জের ধরে শরীফ ও তার সহযোগিরা মিলে তাকে একটি অটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে বন্ধুরা এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ডালিয়া বেগম বাদী হয়ে দাউদ, দাউদের ৫ পুত্র শরীফ, আরিফ, সজিব, শান্ত ওরফে ইয়াকুব আলী, নাঈম এবং তুহিন, জিসান, জুয়েল এই নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ছয়-সাতজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে র্যাব। তবে মামলার পর থেকেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিরা পালিয়ে আত্মগোপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী শরীফ ও তার দুই সহযোগীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালায়। প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় শরীফ ও নাঈমকে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় শান্তকে। সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হাসান আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। এলাকায় ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। যার মধ্যে শরীফের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।