ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকার ফুট ওভারব্রিজ হকারদের দখলে

ঢাকার ফুট ওভারব্রিজ হকারদের দখলে

রাজধানীর বেশিরভাগ ফুট ওভারব্রিজ পথচারীদের চলাচলবান্ধব নয়। দুর্ঘটনা এড়াতে এবং পথচারীদের পারাপারে সুবিধার জন্য এগুলো স্থাপন করা হলেও এখন তা হকারদের দখলে। ফুট ওভারব্রিজের দুই পাশে হকারদের দোকান থাকায় পথচারীদের চলাচলের পথ হয়েছে সরু। এতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। পাশাপাশি ফুট ওভারব্রিজে ওঠার সিঁড়ির ধাপগুলো চলাচলবান্ধব না হওয়া এবং সিঁড়ি অপ্রয়োজনীয় উঁচু হওয়ায় রাস্তা পারাপারে অনেকেই এগুলো এড়িয়ে চলেন। ফলে এসব ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রকৃত সুফল মিলছে না। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়নে সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে আইএমইডি। এতে ফুট ওভারব্রিজ থেকে হকার উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচল সুগম করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়।

ফুট ওভারব্রিজের দুই পাশে হকারদের দোকান থাকায় পথচারীদের চলাচলের পথ হয়েছে সরু। পাশাপাশি ওভারব্রিজে ওঠার সিঁড়ির ধাপগুলো চলাচলবান্ধব না হওয়া এবং সিঁড়ি অপ্রয়োজনীয় উঁচু হওয়ায় রাস্তা পারাপারে অনেকেই এগুলো এড়িয়ে চলেন প্রতিবেদনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফুট ওভারব্রিজে হকার ও অপরাধীদের দখলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শাহজাহানপুর, শ্যামলী, কমলাপুর পীরজঙ্গী মাজার সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজ। এছাড়াও রয়েছে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজ, বসুন্ধরা শপিংমল, সোবহানবাগ মসজিদের নিকট, নর্দ্দা-বারিধারা বাসস্ট্যান্ড ও উত্তর বাড্ডা বাজার ফুট ওভারব্রিজ। এসব ফুট ওভারব্রিজ সবসময়ই থাকে হকারদের দখলে। বনানী-১১ নম্বর রোডের ফুট ওভারব্রিজের চলন্ত সিঁড়ি থাকলেও তা সচল থাকে না সবসময়। ফলে এই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে সমস্যায় পড়েন বয়স্ক ও শিশুরা। এসব সমস্যা সমাধানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা প্রকল্পটি পরিদর্শন করে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠক করব। আলাদাভাবে সুপারিশ করে বিষয়গুলো জানতে চাইব। এগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা জানতে চাইব। বই আকারে প্রতিবেদন দিলে তেমন কোনো কাজ হয় না, অনেকে বই নিয়ে রেখে দেয়। তবে আশা করছি বৈঠক করে চিঠি দিলে কিছু কাজ হবে। যাতে করে একই ব্যত্যয় বার বার না হয় সেই বিষয়েও আমরা সুপারিশ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত