ঢাকা ওয়াসার পানির পাম্প স্টেশন থেকে ঢাকা ওয়াসা ও ড্রিঙ্ক ওয়েলের এটিএম বুথে পানির দাম বাড়ানোয় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি। বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা জানি ঢাকা ওয়াসা ড্রিঙ্ক ওয়েলকে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করে থাকে এবং তাদের স্থাপনা বিনামূল্যে ব্যবহার করে থাকে। তাই তাদের পানি বিনামূল্যে সরবরাহ করার কথা। কিন্তু ব্যবস্থাপনার জন্য নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ঢাকা ওয়াসার কাণ্ডজ্ঞানহীন কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, বিদ্যুতের দাম এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণেই পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব বক্তব্য দেওয়ার জন্য এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাই। তিনি বলেন, দুই দিন আগেও যেখানে সুপেয় পানিবঞ্চিত অসহায় দরিদ্র এবং সাধারণ নাগরিক প্রতি লিটার পানি কিনত ৪০ পয়সায়, সেখানে এখন ১০ পয়সা ভ্যাটসহ প্রতি লিটার কিনতে হচ্ছে ৮০ পয়সায়। ড্রিঙ্ক ওয়েলের এ পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শুধু অযৌক্তিক নয়, নিন্দনীয়ও। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার ৩২১টি পাম্পেই এটিএম বুথের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা ওয়াসার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এরই মধ্যে মানবিক এ কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাওয়ার্ড করপোরেট এক্সিলেন্স (এসিই) পুরস্কার পেয়েছে ড্রিঙ্ক ওয়েল। তাই ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের যেই উদ্দেশ্য সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নাগরিকদের সুপেয় পানি সরবরাহ করা তার সঙ্গে ড্রিঙ্ক ওয়েলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সাংঘর্ষিক। আমরা এ মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আগের মূল্য বহাল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব। পাশাপাশি বিষয়টি সরকারের স্থানীয় মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।