সুখবর নেই মাছ-মুরগির বাজারে বিপাকে ক্রেতাসাধারণ
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনা ব্যুরো
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেশ কয়েক মাস ধরেই চড়া। এর মধ্যে খুলনার বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে ৪-৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। মাছের দামও রয়েছে নাগালের বাইরে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা। নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার ১৭০-১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং বিদেশি ৩৩০ টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ গত তিন দিন আগে ব্রয়লার ১৫০ ও সোনালি ২৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা মনির বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা বাড়ায় ব্রয়লার ও সোনালি দুটির দামই বেড়ে গেছে। সোনালি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৮০ টাকায় বিক্রি করছি। মুরগি কিনতে আসা জেসমিন বেগম বলেন, বাজারে কখন যে কোন পণ্যের দাম বেড়ে যায় তা বলতে পারে না কেউ। আজ সবজির দাম কমলে কাল মাছ-মুরগির দাম বেড়ে যাচ্ছে। একটা সময় জিনিসপত্রের দাম দীর্ঘদিন ধরে স্থির থাকতে দেখেছি। কিন্তু এখন প্রতিদিনই কম-বেশি হয়। অন্যদিকে ইলিশের ভরা মৌসুমে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় তার দামও আকাশচুম্বী। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকায়। আর ৫০০ গ্রাম সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ নেই বললেই চলে। সাগরের মাছ এখনো আসেনি বাজারগুলোতে। যা আসছে তা আমাদের ধারেকাছের মাছ। ইলিশ ছাড়াও বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে এই দাম। এছাড়া পারশে ৫০০-৬০০ টাকা, ভেটকি ৬০০-৭০০, টেংরা ৫০০-৬০০, শোল মাছ ৬০০, পাবদা ৩৫০, বেলে ৬০০, বাইম ৬০০, পাঙাশ ২৫০, তেলাপিয়া ১৫০-২০০, চিংড়ি ৫৮০-৬৫০, সিং ও মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আগে থেকে আসা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১৮০০ টাকা কেজিতে। গল্লামারী বাজারের মাছ বিক্রেতা রহমান আকুঞ্জি বলেন, সবেমাত্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। খাল বিল এখনো পানিতে তলিয়ে যায়নি। ফলে বাজারে মাছের আমদানি এখনো বাড়েনি। এদিকে নগরীর জোড়াকল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৪০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কুশি আর ঝিঙে। কাঁকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, ঢ্যাঁড়স ৪০, পটল ৩০, লালশাক ৪০, ডাঁটা শাক ৪০, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা, ২৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা কলা। এছাড়া আলু ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।