বরিশালে ভবনের তৃতীয় তলার সানশেডের ওপর থেকে জুতা আনতে গিয়ে পড়ে আহত কিশোরী মাইশা আব্দুল্লাহ (১৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এর আগে, ৩ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকার একটি বেসরকারি হাউজিংয়ের আরিয়ান কটেজের ছাদের সানশেড থেকে পড়ে যায় মাইশা। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় তিন নারীকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন কিশোরীর মা। এদিকে হয়রানির করার কথা উল্লেখ করে মাইশার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন অভিযুক্তদের একজন তাহারাত বেগমের স্বামী আবুল কালাম। দুটি অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। ওসি আরো বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৃত মাইশা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের সঠিখোলা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শারমিন আক্তার দম্পতির বড় মেয়ে। তবে তারা বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেসরকারি একটি হাউজিংয়ের আরিয়ান কটেজ নামক ভবনের নিচতলায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকত মাইশা। স্থানীয় একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। মৃতের খালা ঝুমুর আক্তার জানান, ভবন মালিকের স্বজন শাহানাজ পারভীন গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে মাইশাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে যান। এরপর মাইশাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন শাহানাজ পারভীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘মাইশা ছাদে আছে’। পরক্ষণেই মাইশা ছাদ থেকে পরে গেছে বলেও জানান তিনি। এ কথা শুনে মাইশার মা শারমিন আক্তার ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে গিয়ে শাহানাজ পারভীনের শাশুড়ি বৃদ্ধ সেতারা বেগমকে দেখতে পান। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মাইশা নিচে পড়ে গেছে। তারপর শারমিনসহ স্বজনরা ভবনের নিচে গিয়ে মাইশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন। খালা ঝুমুর আক্তার আরো জানান, তাৎক্ষণিক মাইশাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।