ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া গবেষণা সম্ভব নয়

পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া গবেষণা সম্ভব নয়

চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এই গবেষণা কার্যক্রম একটি বহুমুখী প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৫ তলার অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের উদ্যোগে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে অনেক কিছুই করেছে, অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৫৭টি বিভাগ, ১০২টি উচ্চতর কোর্স, প্রতি বছর রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট মিলিয়ে দুই হাজার শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। প্রতি বছর অনেকগুলো গবেষণা কার্যক্রমও সম্পন্ন হচ্ছে। তারপরও উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে এবং গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। গবেষণায় ফান্ডিং, দক্ষতা ও সম্মিলিত কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ফান্ডিং নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতাও অপরিহার্য। এটি অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যেও সমন্বয় ও সহযোগিতাও অপরিহার্য। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে যেমন সংশ্লিষ্টদের নেতৃত্ব দিতে হবে, তেমন নিজের ভেতর থেকেই গবেষণার প্রতি ঝোঁক থাকতে হবে। এ সময় অধ্যাপক শারফুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে হেলথ ট্যুরিজম চালু, জার্নাল ইনডেক্সিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং সমন্বিত রিসার্চ সেন্টার চালু করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী গবেষণায় বরাদ্দ বাড়িয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ পূর্বের ৪ কোটি টাকা থেকে ৩২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত গবেষণা ফান্ড থেকেও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে বিএসএমএমইউর গবেষণা ফান্ড। এছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শারফুদ্দিন আহমেদ গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা। এছাড়াও কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক তুহিন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত