জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব ক্রান্তিকালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহযোদ্ধা ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা, সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে বিশেষ করে ছয়দফা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা দিয়ে বলেছিলেন, তুমি যা ভালো মনে করো, তাই করো। বঙ্গমাতার দৃঢ় মানসিকতায় বঙ্গবন্ধু অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেরণায় ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সেই বিস্ময়কর ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারী জাগরণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করেছেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি মহীয়সী নারী, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী, সহযোদ্ধা, সহকর্মী, অনুপ্রেরণাদায়িনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জননী। অতিসাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কখনোই কোনোরকম চাপে বিচ্যুত হননি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হতে প্রেরণা দিয়েছেন, শক্তি-সাহস জুগিয়েছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলতেন, দেশের জন্য তোমার জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন রেণু (বঙ্গমাতা) পাশে না থাকলে তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতে পারতেন না। একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য, একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য একজন মহীয়সী নারী কীভাবে প্রেরণা যোগাতে পারে, সহায়তা করতে পারে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গমাতা।