দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাবনা পাসের দাবি
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি সংসদেই যাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাবনা পাস করা হয়, যে ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
গতকাল বুধবার সাভারে বেসরকারি এনজিও নারী মৈত্রী এবং ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক চলাকালে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বৈঠকে প্রতিনিধিদলটির প্রতিনিধিত্ব করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহিন আক্তার ডলি। বৈঠকে শাহিন আক্তার ডলি তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিক প্রতিমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তামাক ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে অন্যতম। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের (গ্যাটস) মতে, বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। আর পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান। তিনি আরো জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হৃদরোগ ও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে একজন নারী অকালে গর্ভপাত, অপরিণত শিশুর জন্ম, স্বল্প ওজনের শিশু, গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ, প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মৃত শিশুর জন্ম দেয়াসহ নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই এখনই সময়, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে এবং মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান তামাকের এই ভয়াবহতার দিক স্বীকার করে বলেন, তামাকের কারণে যাতে আর একটি প্রাণও না হারাতে হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যাতে তামাকমুক্ত হয়, এ ব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবেন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির সংশোধনী প্রস্তাবনা যাতে মন্ত্রী পরিসভায় উত্থাপন করা হয় এবং চলতি সংসদেই যাতে সেটি পাস করা হয়, সে ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।