প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমি ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘদিন ধরে কাতারে ব্যবসা করছি। বিগত চার বছর পূর্ব থেকে মো. ইউনুস হোসেন ওরফে রাজিবের সঙ্গে মৌখিক ও সাদা কাগজের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করি এবং ব্যবসার লভ্যাংশ মো. তৌহিদুল ইসলামের ৭০ শতাংশ আর মো. ইউনুস হোসেন রাজিবের ৩০ শতাংশ।
পরবর্তীতে ইউনুসের সঙ্গে তৌহিদুল ইসলামের হিসাব-নিকাশে বনিবনা না হওয়ায় ভাই-বন্ধু (বাঙালি)সহ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেন এবং মো. তৌহিদুল ইসলাম তার পার্টনার মো. ইউনুস হোসেন ওরফে রাজিবের কাছে টাকা পাওনা হন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে তারা দুজন একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেন, তারই অংশ হিসেবে আমাকে পাওনা টাকা-পয়সা লেনদেন করবেন বলে ফোন করে তাদের বাসায় নিয়ে আটকিয়ে রেখে, প্রায় ১২ ঘণ্টা জিম্মি করে মারধর এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আমার নিকট থেকে জোরপূর্বক একটা সাদা স্ট্যাম্পে দস্তখত (সই) নেয় এবং কাতারের প্রশাসন দিয়ে ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মোকাবিলা করি। এরইমধ্যে আমি বাংলাদেশে নিজবাড়ীতে আসি। বাড়িতে আসার পর কাতার প্রবাসী মো. ইউনুস ওরফে রাজিব (প্রতারক) তার পিতাসহ আরো ১০-১২ জন লোক নিয়ে আমাকে মানিকপুর নিজ বাড়িতে এসে হুমকিধমকি দিচ্ছেন এবং বলছেন কাতারে আমার বাকি ব্যবসাও তারা জবরদখল করে নিয়ে গেছেন। নিরাপত্তা চেয়ে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।