ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সর্বোতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

বললেন মতিয়া চৌধুরী
মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সর্বোতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

এত রক্ত ও বাধার মধ্যে শেখ হাসিনা যেভাবে ফিরে এসেছেন সেভাবেই তিনি পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সর্বোতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান বাস্তবায়নে সর্বোতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবায়নেও কাজ করে চলেছেন। আজকে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষের এই মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পৌঁছে গেছে। গত শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এ সময় বলেন, ১৫ই আগস্ট আমাদের জন্য লজ্জা, ঘৃণা ও অপমানের চাবুক। এর চাইতে কোনো চাবুক বাঙালির পিঠে পড়েছে কি না তা আমার জানা নেই। আমরা এমনই এক দেশে বসবাস করি যে দেশটি এনে দিয়েছেন আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে বাংলায় কথা বলা ও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা লোকই কিন্তু হত্যা করেছে। তারপর থেকে একের পর এক দৃশ্যপট যে পরিবর্তন হয়েছে তাতেই বাঙালির অশুভ আঁতাতের ঘটনা ফুটে উঠেছে। কিন্তু তারপরও বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এসেছেন। তিনি এসে ৮১ সালে এই দলের হাল ধরেছেন। বেগম মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, জনগণ যেমন শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল তেমনি শেখ হাসিনাও কখনো জনগণকে দূরে রাখেননি। শুধু ৭৫-এর হত্যাকাণ্ড নয়। এরপরও শেখ হাসিনা যাতে দেশে না আসতে পারে তার প্রচেষ্টাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনগণের শক্তিতে হাজার বাধার মধ্যেও শেখ হাসিনা ফিরে এসেছেন। তাকে কেউ আটকিয়ে রাখতে পারেনি। মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা জানি- মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই, উন্নয়নেরও কোনো শেষ নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উন্নয়নের চাহিদা অবশ্যই থাকবে। না হলে মানুষ এগোতে পারবে না। মানুষই তার উন্নয়ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সর্বোতভাবে সে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন। এখন আমাদের শুধু তার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবেই সে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। খুনি জিয়াউর রহমান জীবিত থাকলে তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার জন্য অবশ্যই সাজা দেওয়া হতো, দণ্ড দেওয়া হতো বলে মন্তব্য করেছেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত