জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, তরুণ শিক্ষার্থী?দের পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সবুজবান্ধব শহর, নগর ও ক্যাম্পাস গড়তে বিজ্ঞানের উদ্ভাবনকে প্রয়োগ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হচ্ছে ভোগবাদী ও আরাম-আয়েসি জীবন। এক একটি পরিবারে তিন-চারটি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। দামি-দামি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছে। এসবের চাহিদা পূরণের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ করে ফেলা হচ্ছে।
আগামী প্রজন্মের জন্য কিছুই থাকছে না। ভোগবাদী জীবন এড়িয়ে তরুণ প্রজন্মকে পরিশ্রমী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। শুধু বিসিএস অফিসার হওয়ার প্রতিযোগিতা নয়, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ও গবেষক। গবেষণায় প্রচুর মন দিতে হবে এবং মহান আল্লাহর সৃষ্টি বৈচিত্র্য থেকে গবেষণার মাধ্যমে মানুষের জন্য কল্যাণমূলক উদ্ভাবন বের করতে হবে।
পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প উদ্ভাবন করে নদী-নালা ও কৃষিজমিকে রক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিক পলিথিনমুক্ত রাখতে হবে এবং বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। কৃত্রিম আনন্দে গা ভাসালে জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে, মোবাইল-ইন্টারনেট আসক্তি থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। ক্রমাগত ১ ঘণ্টা মোবাইলে ডুবে থাকলে ব্রেনের নিউরনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয় এবং দৃষ্টিশক্তিরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়। গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়ে?ন্স-এর একাডেমিক ভবনে আয়োজিত ‘জলবায়ু রক্ষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক এক সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এ কথা বলেন। আগামীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আর্থিক সহযোগিতায় ফরেস্ট্রি ক্যাম্পাসে জীববৈচিত্র্য মিউজিয়াম গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৮০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানবিষয়ক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উক্ত বিভাগের পরিচালক ড. মো. আখতার হোসেন।