দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে ঢাকা
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা কয়েকদিন ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ ১০ এর মধ্যে ঘুরছে রাজধানী ঢাকা। ১৩০ স্কোর নিয়ে আজ ঢাকার অবস্থান শীর্ষ পাঁচ নম্বরে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে। আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৫৫। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৫৪ স্কোর নিয়ে কাতারের দোহার পর শীর্ষ তিনে ১৫২ স্কোর নিয়ে আছে চীনের বেইজিং। এছাড়া ১৩৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে কুয়েতের কুয়েত সিটি এবং পাঁচ নম্বরে ১৩০ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে ঢাকা। এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ছয়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। পাশাপাশি ১২৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ সাত নম্বরে ভারতের দিল্লি এবং ১২০ স্কোর নিয়ে আট নম্বরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এছাড়া নয় নম্বরে ১১৩ স্কোর নিয়ে ইরাকের বাগদাদ এবং শীর্ষ ১০ এ ১০৭ স্কোর নিয়ে আছে ভিয়েতনামের হানোই। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।