জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, ‘চিকিৎসার মাধ্যমে মানবসেবার যে সুযোগ, তা’ চিকিৎসকদের জন্য মহান স্রষ্টার ইবাদতের সমতুল্য। দুর্নীতিমুক্তভাবে দায়িত্বপালন এবং পাপমুক্ত থেকে জীবনযাপন করলে একজন চিকিৎসক সহজেই স্রষ্টার নৈকট্য অর্জন করতে পারে। দায়িত্ব পালনকালে যেকোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম দেখলে তা প্রতিরোধ করা সরকারি কর্মচারী হিসেবে চিকিৎসকদেরও কর্তব্য। ওষুধ কোম্পানিগুলো পৃথিবীজুড়ে চিকিৎসকদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে। বর্তমানে কর্পোরেট শক্তির কাছে অনেকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনকালে ওষুধ কোম্পানির নিকট থেকে যে কোনো উপহার সামগ্রী গ্রহণ করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এতে চিকিৎসকদের নৈতিক শক্তি দুর্বল হয়ে যায়। সামান্য উপহারের জন্য নিজের বিবেক বা নৈতিকতাকে বিসর্জন দেয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আজীবন সৎ ও নীতিবান থেকে চিকিৎসার মাধ্যমে মানবসেবায় নিজেকে ব্রতী হয়ে অনেক চিকিৎসক মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন, দৃষ্টান্তস্বরূপ চট্টগ্রামের প্রখ্যাত শিশু চিকিৎসক মরহুম ডা. মোমিনুল হক চৌধুরী অন্যতম। জীবনে কি পেলাম বা কি পেলাম না, তা’ বিবেচ্য নয়। সৎ, শুদ্ধ ও নীতিবান হয়ে আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে স্রষ্টার কাছে শুদ্ধভাবে ফিরে যাওয়াই মানবজীবনের সার্থকতা। জীবন-জীবিকা ও রিজিক মহান আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত। সুতরাং, সৎ উপার্জনকে মূল লক্ষ্য রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত সংযমী ও সতর্ক হতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগে বর্তমানে অনেক কঠিন কাজ সহজ হচ্ছে। মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’ গতকাল রাজধানীর শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ অধিবেশনে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক এ বক্তব্য দেন। এ প্রশিক্ষণে সারাদেশ থেকে ৪০ জন বিসিএস ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসক অংশগ্রহণ করছেন।