বশেমুরকৃবি’র লবণাক্ত সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল সয়াবিনের নতুন দুই জাত উদ্ভাবন

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)-এর কৃষিতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক ‘বিইউ সয়াবিন-৩ ও বিইউ সয়াবিন-৪’ নামে দুটি লবণসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং দেশের নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে প্রায় ২০০ জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে ২০০৫ সাল থেকেই বিভিন্ন আঙিকে সয়াবিনের উন্নয়নে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বশেমুরকৃবি’র কৃষিতত্ত্ব বিভাগ। এ পর্যন্ত সয়াবিন উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ছয়জন পিএইচডি ও ১৫ জন ছাত্র এমএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা সয়াবিন উৎপাদনে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা, তাই লবণাক্ত সহিষ্ণু জাত বের করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের কিওটো বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে নিবিড় গবেষণা করা হয়। তারই ধারাবাহিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, জার্মপ্লাজম দুটি উচ্চফলনের পাশাপাশি লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ও খরা সহিষ্ণু। জাত দুটি উদ্ভাবন গবেষণা টিমের প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল করিম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে কৃষক পর্যায়ে এর সঠিকতা যাচাই করার জন্য নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ত জমিতে জাত দুটির মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সম্পৃক্ত করে রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমেই চাষ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি এ গবেষণায় আর্থিক সহযোগিতা করেছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) ও বশেমুরকৃবি এবং কৃষকের মাঠপর্যায়ে গষেণায় বিভিন্ন আঙিকে সহযোগিতা করেছে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া নামে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ। বিভিন্ন উপজেলায় জাত দুটির গড় ফলন পাওয়া গিয়েছে ৩.২ মে: টন।