গ্যাস সরবরাহে পাল্টে যাবে রংপুরের অর্থনীতি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর ব্যুরো
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রংপুরে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) পাইপ লাইনের মাধ্যমে এ পরীক্ষামূলক গ্যাস সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। ১৫০ কিলোমিটারের পাইপ লাইনের কাজ শেষ। বাকি শুধু মিটারিং স্টেশনের কাজ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বগুড়া, রংপুর ও সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তবে চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের আগেই মে মাসেই প্রকল্পের পুরো ১৫০ কিলোমিটার এলাকার পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করেছে জিটিসিএল। গত ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জেলা স্কুল মাঠের জনসভায় রংপুর বিভাগে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনের অঙ্গীকার করেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর রংপুর বিভাগে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পে গতি বেড়েছে। রংপুরের নিউ আদর্শপাড়া বাসিন্দা রোকসানা বেগম বাসিন্দা বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে স্থাপিত পাইপ লাইনের মাধ্যমে কয়েকটি শিল্প-কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস সরবরাহ করবে জিটিসিএল। এতে আমরা অনেক খুশি। আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত গ্যাস আসায় উত্তরাঞ্চলের মানুষের অনেক সুবিধা হবে। বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের সহকারী কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, আমরা আগামী ১ মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করব। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি শিল্প-কারখানায় এ গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। তিনি আরো বলেন, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে মিটারিং স্টেশন, ডিস্ট্রিক রেগুলেটিং স্টেশন-ডিআরএস স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটি সরকারি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আকবর আলী বলেন, রংপুর বিভাগে গ্যাস সরবরাহ করা হলে স্থানীয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী কৃষিভিত্তিকসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। এতে করে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা পাল্টে যাবে। ফলে রংপুরের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।