নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় রুমে ঢুকে জুনিয়রকে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক শিক্ষার্থীকে রুমে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিলেশ্বর রায় নামের ওই ভুক্তভোগী সঙ্গীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু হলের ৪১৭ নাম্বার কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের পাঁচজন সিনিয়রের নাম উল্লেখ করে বিভাগীয় প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন সঙ্গীত বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে আলামিন শাহ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সবুজ আহমেদ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাইফ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রাহিদুল এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাহাত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, সঙ্গীত বিভাগের জুনিয়র ব্যাচদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভাগের সিনিয়র আলামিন শাহ ভাই ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। আমি সেখানে কমেন্ট করে বলি যে, এটি যেহেতু বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই বিভাগের গ্রুপে পোস্ট দিলে ভালো হতো। এরপর তিনি আমাকে ফোন দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরদিন আমার পরীক্ষা থাকায় দেখা করতে দেরি হওয়ায় কয়েকজন মিলে আমার রুমে এসে সহপাঠীদের বের করে দিয়ে আমাকে মারধর করেন। অভিযোগে তিলেশ্বর লেখেন, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু হলের আমার নিজ কক্ষ-৪১৭-তে আমার নিজ বিভাগের কয়েকজন অগ্রজ অনুপ্রবেশ করে। আমার সহপাঠীদের বের করে দিয়ে কক্ষে কয়েকজন জুনিয়র ছোটভাইদের সামনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও অতর্কিত হামলা করে, আমাকে অনেক মারধর করে এবং আমার ফোন কেড়ে নিয়ে অনেক ডকুমেন্টস মুছে দেয়। অভিযুক্ত আলামিন শাহ-এর আগেও বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীকে মারধর এবং বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আলামিনের মারধরের শিকার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ভবেষ রায় বলেন, একদিন আমি রিকশা দিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই সময় আল-আমিন ভাই আমাকে ডেকেছিল; কিন্তু আমি তা শুনতে পাইনি। এই ভুলের জন্য তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং ক্যাম্পাসে থাকতে দিবেন না এমন হুমকি দেন। অভিযুক্ত আল আমিন শাহ বলেন, তিলেশ্বর আমার এলাকার ছোট ভাই। আমি তাকে একটু শাসন করেছি। এই ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।