ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, কবি নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে এনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ভূষিত করার ক্ষেত্রে জাতির পিতার রয়েছে এক অনবদ্য অবদান। কবি নজরুল মানবতার কবি। তার নাটক, গান, গল্পে যে দর্শন পরিলক্ষিত হয় তা সকল স্থান, কাল, ও স্বাধীনতাকামী অসাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর জন্য বিবেচ্য। কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধুর দর্শনে গভীর মিল রয়েছে। তারা উভয়ে শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন এবং প্রতিবাদ করেছেন। গতকাল সকাল ৭টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকালে কবি নজরুলের সমাধিতে তার পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কবি নজরুল মানবতার কবি। তার নাটক, গান, গল্পে যে দর্শন পরিলক্ষিত হয় তা সকল স্থান, কাল, ও স্বাধীনতাকামী অসাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর জন্য বিবেচ্য। বিশিষ্টজনরা মনে করেন, নজরুলের গানের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে তবে শুধু দিবসকেন্দ্রিক শ্রদ্ধাঞ্জলি নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রে নজরুলের চেতনা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। প্রেম, দ্রোহ সাম্য ও মানবতার কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিজের ভাবনাকে শানিত রেখেছেন আজীবন। বিশ্বব্যাপী চলমান হানাহানি, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থান রুখতে নজরুলের চর্চা বাড়ানোর উদ্যোগ জরুরি বলেও মনে করেন তারা। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।