ফাঁকা বাসা-বাড়ি আগে থেকে রেকি করত একটি চোরচক্র। পরে সময়-সুযোগ বুঝে বাসার গ্রিলকেটে ও তালা ভেঙে বাসায় ঢুকে ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করত চক্রটি। গেল দুই বছর এই চক্র রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি করেছে। চুরির পর চক্রের সদস্যরা চোরাই স্বর্ণালঙ্কার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দোকানে এবং ল্যাপটপ শপিং মলের কম্পিউটার দোকানে বিক্রি করত। গত ১২ আগস্ট রাজধানীর লালবাগের একটি ভবনের ফাঁকা তিনটি বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করা এই চোর চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সঞ্জীব (২৪), মো. হেলাল উদ্দিন (২৪), মো. রনি (৩০), মো. রিপন (৩২), মো. তরিকুল ইসলাম (৩০), মো. শামীম (২৩) ও মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৩)। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৪৮টি ল্যাপটপ, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ছয় লাখ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রথমে একটি বাসা রেকি করত। বাসা ফাঁকা থাকলে সেই বাসা টার্গেট করে চুরি করত। মূলত যে বাসাগুলোতে সিকিউরিটি থাকে না, সেগুলো টার্গেট করতো তারা। গত ১২ আগস্টের চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোরচক্রের চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর চুরি যাওয়া একটি মোবাইলের সূত্র ধরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকার শপিংমলের একটি দোকানে চোরাই ল্যাপটপ কেনাবেচার কথা জানা যায়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া দুটি ল্যাপটপসহ চোরাই ৪৮টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। দোকানদার সুমন চোরচক্রের রনির কাছ থেকে কম দামে চোরাই ল্যাপটপ কিনতেন। ডিসি জাফর হোসেন বলেন, চক্রের সদস্যরা আগেও সূত্রাপুর, কলাবাগান, লালবাগ ও ওয়ারীসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। ল্যাপটপ চুরির পর কারও ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হতো কিনা, জানতে চাইলে ডিসি বলেন, শপিংমলের ওই দোকানটি চোরাই ল্যাপটপ কম দামে কিনত। এরপর সেগুলো ফরম্যাট দেওয়ার পর উইন্ডোজ দিয়ে বিক্রি করে দিত।