খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ১১ জন দালালকে আটক করেছে র্যাব-৬ এর একটি দল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এ অভিযান চালানো হয়। আটকদের মধ্যে দুইজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ১ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরো পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯ জনকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম এই আদেশ দেন। ১৫ দিনের জেল ও ১ হাজার টাকা জারিমানার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জ্যোতির্ময় শীল (২৮) ও লিটন মন্ডল (৩২)। বাকি ৯ জনের মধ্যে আছেন মো. শিফাজুর রহমান, মো. রিয়াজুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন, ফারুক হোসেন, ওসমান শেখ, রিয়া বেগম, আরাফাত আকুঞ্জি, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গোলম রাব্বারনী। গতকাল সকাল থেকে দালাল চক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-৬ এর সদস্যরা। হাসপাতালের ভেতরে বিভিন্ন ওয়ার্ড, জরুরি বিভাগ, বহিঃবিভাগ ও বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে দালাল সন্দেহে অনেককে ধরে নিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ১১ জনকে আইনের আওতায় এনে কারদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়। আর বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুইকর্মী জ্যোতির্ময় শীল ও লিটন মন্ডলকে ১৫ দিনের জেলসহ ১ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ৯ জনকে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও হাসপাতালে ডিউটি করার অপরাধে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্যদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো দালালমুক্ত করতে চাই। এর জন্য আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।