রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র, সহকারী প্রকৌশলী ও কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত রোববার বিকাল ৩টার দিকে পুঠিয়া পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীলা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আল মামুন। লিখিত বক্তবে তিনি বলেন, মোছা. শাহানা খাতুন পিংকি নামে এক মহিলা গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার পোশাকের ওপরে প্রেস লেখা গেঞ্জি পড়ে, হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে পৌরসভায় উপস্থিত হন। ঘটনার সময় আমি ও আমার অফিসের সহকারী প্রকৌশলী অফিসের কাজে বাহিরে ছিলাম। প্রথমে পৌর কাউন্সিলর মো. জেবের মোল্লা ওপর উত্তেজিত কণ্ঠে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। তারপর পৌরসভার কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো. আরিফুল হককে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল ক্যামেরা বের করে অফিস সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। প্রতি উত্তরে কর্মচারী বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব নয় মর্মে বলেন। কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অফিসের বিভিন্ন কক্ষের ছবি উঠান এবং বিভিন্ন মামলার ভয়ভীতি প্রদান করেন, যাতে সব কর্মচারী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই মেয়ের বিভিন্ন সময় মিথ্যা ঘটনা সাজানোর ফলে পৌরসভার নিয়মিত কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ওই সময় অফিসের নিম্নমান সহকারী আতিকুর রহমান আমাকে ফোন দিয়ে বিষটি জানান। সে সময় আমি তাকে বলি, তার কাজ শেষ হলে সম্মানের সহিত চলে যেতে বলেন। এ ব্যাপারটি গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ সেই মেয়ে ওই দিন রাতে থানায় পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ জমা দেন। তবে ঘটনাটি পৌরসভার সিসি ক্যমেরায় ধারণকৃত ভিডিওটি উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর রবেদা বেগম, মো. ইসমাইল হোসেন, জয়নাল আবেদিন, মো. মানিক মন্ডল, রজুফা বেগম, আইরিন পারভিন, মো. শাহ জালাল, মো. মরিরুল ইসলাম, মো. জেবের মোল্লা, সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।