উৎসবকে ঘিরে কেউ যাতে সাইবার ওয়ার্ল্ডে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে না পারে এজন্য ডিএমপির সাইবার পুলিশ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা জনান। এ সময় তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো অনুষ্ঠানকে অধিকতর গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। নির্বাচনের বছর হওয়ায় বিরোধীদলগুলো এখন আন্দোলনমুখী। জন্মাষ্টমী পালনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য ডিএমপি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, এ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেকটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এ উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকির তথ্য থাকলে পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমীকে ঘিরে ডিএমপি কর্তৃক নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা মহানগরীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা বের করা হবে। সভার শুরুতে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রায় ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার। সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, শোভাযাত্রা নির্দিষ্ট সময় শুরু ও শেষ করা, নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, শোভাযাত্রার মাঝে গ্যাপ না রাখা, ব্যাগ নিয়ে শোভাযাত্রায় না আসা এবং আজান ও নামাজের সময় বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
