পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, যতদিন না বান্দরবানের বন্যাদুর্গত মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে, ততদিন ত্রাণ বিতরণ কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের মতো মানুষের অসচেতনতার কারণেই হয়ে থাকে। ক্ষুদ্র লাভের আশায় কেউ কেউ পাহাড় কেটে, ঝিড়ি-ঝর্ণার পাথর তুলে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। আর খাল-বিল নালার পানি প্রবাহকে দখল করে অট্টালিকা গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব কারণেই প্রকৃতির বিরূপ আচরণের প্রভাব পড়ছে এবং অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। মন্ত্রী বন ও পরিবেশ রক্ষার্থে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টকারীদের ধ্বংসাত্মক কাজ পরিহার করার জন্য হুঁশিয়ার করে দেন। গতকাল বান্দরবানের রেইচা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের দুর্গত মানুষদের সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থাও দুর্গতদের ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বান্দরবান সদর ইউনিয় ১৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য ও পানীয়, ওষুধ ক্রয়ের জন্য প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ ওয়াশকিটস্ প্যাকেজও প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, পর্যায়ক্রমে বান্দরবান জেলাসহ নির্বাচিত এলাকায় মোট ৩,৭৫০ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা ও উপকরণ বিতরণ করা হবে। কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। আয়োজকরা জানান, কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্সি সরকার এবং সিআরএসের আর্থিক সহায়তায় বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজার জেলায় মোট ৩,৭৫০ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে কারিতাস বাংলাদেশ। স্থানীয় সংস্থা হিসেবে এতে বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে বান্দরবানের হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন ও রাঙামাটিতে আশিকা। অনুষ্ঠানে কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মার্সেল রতন গুদা, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অরূপ রতন সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, রেইচা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অংসাহ্লা মারমা, হিউম্যানিট্যারিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মং মং সিংসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।