পানিতে ডুবল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে ডুবে গেছে রাঙামাটি পর্যটনশিল্পের আইকন ঝুলন্ত সেতু। গত শনিবার রাতে রাঙামাটিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যার কারণে পাহাড়ি ঢল কাপ্তাই হ্রদে নামায় হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। ডুবতে শুরু করে ঝুলন্ত সেতুটি। আর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। লাগিয়ে দিয়েছে নোটিশ ও লাল পতাকা। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। আবার অনেকেই এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ডুবন্ত সেতুতে। ঝুলন্ত সেতুর এমন অবস্থা দেখে হতাশ পর্যটকরা। অন্যদিকে ক্ষতির আশঙ্কা হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীদের। ঝুলন্ত সেতু ডুবে যাওয়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির নেতারা। খুলনা থেকে আশা পর্যটক রাজেশ জানান, টেলিভিশনে দেখে ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসেছি। এখন এসে দেখি সেটি পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তাই ভয়ে সেতুতে উঠছি না। দূর থেকে দেখতে হচ্ছে। খুবই হতাশ হলাম। রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে গেছে। এতে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা দাবি জানাচ্ছি যাতে ঝুলন্ত সেতুটি ৩-৫ ফিট উপরে তোলা হয়। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক, আলক বিকাশ চাকমা আর নিরাপত্তার বিবেচনা করে সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিশ এবং লাল পতাকা টানানো হয়েছে। পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। পনির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে পাটানতনের কাঠ। তবে মেরামত কাজ করছেন কর্তৃপক্ষ। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল, কিন্তু ১০৫ এমএসএল হলেই ডুবে যায় এই সেতু। আর কাপ্তাই হ্রদে গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ১০৫.৬ এমএসএল পানি রয়েছে। অন্যদিকে ডুবে যাওয়া সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, রাঙামাটি সদর উপজেলার তবলছড়ি এলাকায় নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটির অবস্থান। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ১৯৮৬ সালে এই সেতুটি নির্মাণ করে।