ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মাসুদ রানা, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ সদরে অন্য ক্লিনিকের পরীক্ষা করা রিপোর্ট দেখানোকে কেন্দ্র করে রোগী ও তার স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফেমাস হেলথ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত রোববার সকালে সদর উপজেলার মানিকপুর এলাকায় অবস্থিত ক্লিনিকটিতে এ ঘটনা ঘটেছ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর নিরাপত্তা কর্মী ইউসুফ আলী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সরকারি বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি পরীক্ষার অবৈধ সুযোগ না দেওয়ায় ইউসুফ মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে দাবি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ইউসুফ আলী ফেমাস হেলথ কেয়ারের চিকিৎসক ডা. মো. নাঈম খানের কাছে তার অসুস্থ স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। তিনি চিকিৎসা দেওয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষা করার জন্য কাউন্টারে গেলে খরচ বাবদ ক্যাশ কাউন্টার ছয় হাজার ৫০০ টাকা চায়। এ সময় ইউসুফ পরিচয় দেন তিনি শিল্প-কলকারখানা মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখায় কর্মরত আছেন। তবে পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো উত্তর না দেওয়ায় অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষাগুলো করিয়ে আনেন ইউসুফ আলী। পরে ওই রিপোর্ট ডা. নাঈম খানকে দেখাতে গেলে তিনি বলেন, অন্য প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট এখানে চলবে না। এ সময় এর কারণ জানতে চাইলে উপস্থিত কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে ইউসুফকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকেন। স্বামীকে ঠেকাতে গেলে মারধরের শিকার হন ওই নারী। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম আমার কাছে এত টাকা নেই, টাকা কম রাখতে। পরে আমি অন্য ক্লিনিকে রিপোর্টগুলো করিয়েছি। সেখানে আমার কাছে টাকা নিতে চায়নি, তারপরও দুই হাজার টাকা দিয়ে আসি। সেই রিপোর্ট দেখার পরই ফেমাস ক্লিনিকের কয়েকজন মিলে প্রথমে আমাকে ও পরে আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন। পরে আমি অভিযোগ করে ঢাকায় চলে আসি।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফেমাস হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিফাত তালুকদার বলেন, ‘ওই ব্যক্তি নিজেকে একবার মুন্সীগঞ্জের, আরেকবার ঢাকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দিয়ে ফ্রিতে পরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছিলেন।