সোনালি আঁশে নেই হাসি

রাজশাহীতে পাটের দামে হতাশ চাষিরা

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

সোনালি আঁশে হাসি নেই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাট চাষিদের মুখে। পাটের ভালো ফলন না হওয়া ও নায্যমূল্য না পাওয়ায় এ উপজেলার পাট চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছে। চষিরা অনেক আশা নিয়ে পাট চাষ করে ছিল। পাট চাষের অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় এবার পাটের ফলন কম হয়েছে বলে জানিয়েছে গোদাগাড়ী উপজেলার পাট চাষিরা। পাট চাষিদের অভিযোগ পাটের ফলন কম হলেও, বাজারে পাটের দামও পাচ্ছে না। পাট চাষ করে ধানের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তো দূরের কথা পাট চাষ করে পাট চাষের খরচ উঠানো দায় হয়ে পড়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে প্রায় ৮৯০ হেক্টর। গত মৌসুমে এ উপজেলায় পাট চাষ হয়ে ছিল ৮৮০ হেক্টর। উপজেলার চর আষাঢ়িয়াদহ, মাটিকাটা, বাসোদেবপুর ও দেওপাড়া ইউনিয়নে বেশি পাটের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে চর আষাঢ়িয়াদহ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস বলছে বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এবার পাটের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ৯ মণ করে পাটের ফলন হচ্ছে যা গতবারের তুলনাই বেশি। উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের পাট চাষি ফেন্সু বলেন, চলতি মৌসুমে ২ বিঘা পাট চাষ করে ছিলাম। বিঘা প্রতি ৮ মণ করে পাট হয়েছে। পাটের দাম না পাওয়ায় পাট চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে না। কোনো রকম খরচটা উঠেছে। পাট চাষি সুবেল বলেন, যে আশা করেছিলাম তার চেয়ে ফলন কম। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মণ। পাট চাষ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছিল ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাজারে পাটের দাম না থাকায় পাট বিক্রি করে জমি চাষের খরচ ওঠাই দায় হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য বছরে পাট জাগ দেওয়ার জন্য যে কষ্ট পেতে হয়েছিল তা এ বছর নেই। পুকুর, নালা ও ডোবায় পানি না থাকলেও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পানিতে পাট জাগ দিয়েছিলাম। ক্ষেত থেকে নদীতে পাট নিয়ে যেতে একটু খরচ বেশি হয়েছে। এদিকে পাট ছাড়ানো রাহাতন বেগম বলেন, টাকার বিনিময়ে নয়, পাটকাঠির বিনিময়ে পাট ছাড়িয়ে দিচ্ছি।