কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) জন্য কেনা হচ্ছে ৩৪০টি সিএনজিচালিত এসি বাস। একতলাবিশিষ্ট এ বাসগুলো আগামী বছরের মধ্যেই কেনা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া, ভবিষ্যতে এ বাসগুলো মেরামতের জন্য প্রায় ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশও আনা হবে কোরিয়া থেকে। গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘বিআরটিসি’র জন্য সিএনজি একতলা এসি বাস সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং কোরিয়া থেকে ঋণ পাওয়া যাবে ৮২৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। বিটিআরসি’র কর্মকর্তারা জানান, এ বাসগুলোর মাধ্যমে আন্তঃনগর এবং অন্তঃনগরে নির্ভরযোগ্য এবং আরামদায়ক গণপরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। মেরামত অযোগ্য বাসগুলোকে পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস দ্বারা প্রতিস্থাপন করা। এর ফলে পরিবেশবান্ধব পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কর্মকর্তারা আরো জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪০টি সিএনজি সিঙ্গেল ডেকার এসি সিটি বাস এবং ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ ও সম্পর্কিত পরিষেবা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া, ২০০টি সিএনজি সিঙ্গেল ডেকার এসি ইন্টারসিটি বাস এবং ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ ও সম্পর্কিত পরিষেবা সংগ্রহ হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পরিকল্পনা (অধ্যায় ৬; অনুচ্ছেদ ৬.৫.১) বাস রুট রেশিওনালাইজেশনের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া, এসডিজি-১১.২ এর আলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী, অবারিত এবং টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বয়স্কদের চাহিদার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সম্প্রসারণ করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য প্রকল্পটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি’র সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) মো. আমজাদ হোসেন জানান, কোরিয়া থেকে বাসগুলো আনা হবে। এ প্রকল্পে বাসগুলো কিনতে বেশিরভাগ অর্থই কোরিয়া ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে বাসগুলো আনা হবে। পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশও কোরিয়া থেকে ক্রয় করা হবে। প্রতিটি বাসই সিএনজি চালিত হবে বলে জানান তিনি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে বিআরটিসি কর্তৃক আন্তঃনগর এবং অন্তঃনগরে নির্ভরযোগ্য এবং আরামদায়ক গণপরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া, মেরামত অযোগ্য বাসগুলোকে পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হবে। যার মাধ্যমে আরো উন্নত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।