আম রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়েছে রাজশাহী অঞ্চলে

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী থেকে গত ২৬ আগস্ট প্রথমবারের মতো আম রপ্তানি হয়েছে ইউরোপ এবং উত্তর এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায়। ২০০ কেজি গৌরমতি, ১০০ কেজি কাটিমনসহ মোট ৩০০ কেজি আম এয়ার আরাবিয়ার জি৯-৫১৭ ফ্লাইটে করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিন বছরের প্রচেষ্টার পর একটি কোম্পানি এই আম রপ্তানি করে। এভাবে প্রতিবছরই সম্ভাবনাময় আম রপ্তানিতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন দেশ। রাজশাহী অঞ্চলে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি আম রপ্তানি হয়েছে এবার। রপ্তানির মাধ্যমে আমের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলায় (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর) চলতি অর্থবছরে আম উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন। যেখানে মোট বাণিজ্যের আশা সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশে রপ্তানির টার্গেট আড়াই হাজার মেট্রিক টন। তবে চলতি মৌসুমের ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) ৪৫২ দশমিক ১৫ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছর ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২২২ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন। দপ্তরটির তথ্যমতে, এ অঞ্চলের আম চলতি মৌসুমে ১৭টি দেশে রফতানি হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১২টি। নতুন করে ৫টি দেশে এ বছর আম রফতানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইতালি, হংকং, ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ড, দুবাই, বাহরাইন, কাতার, ইউরোপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, লন্ডন, কুয়েত, নেদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়ায় আম রপ্তানি হয়েছে। তথ্য বলছে, আম্রপালি জাতের আম সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নওগাঁ, তৃতীয় স্থানে রাজশাহী। নাটোর থেকে কোনো আম রপ্তানি হয়নি। আর চুক্তিবদ্ধ ৫৩ জন উৎপাদনকারী এই আম রপ্তানি করেছেন। বাঘার আম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করে আসছেন। এই আম উৎপাদনে খরচ বেশি। পরিচর্যাও বেশি নিতে হয়। কারণ, এই আম রপ্তানিকৃত দেশের শর্ত মেনে উৎপাদন করতে হয়। এ বছর তার উৎপাদন করা আম ইতালিসহ কয়েকটি দেশে গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কুন্দুয়া গ্রামের চুক্তিবদ্ধ আমচাষি নাজিম উদ্দিনের বাগান থেকে সংগ্রহ করে প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় আম রপ্তানি করা হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমটিবি অ্যাগ্রো অ্যান্ড গার্ডেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহতাব আলী জানান, রাশিয়ায় আম রপ্তানি করা সহজ ছিল না। অনেক প্রচেষ্টার পরে সম্ভব হয়েছে। এই আম রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল রাশিয়ার জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করা।