জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারের নিজস্ব কার্যালয়ে দিনব্যাপী এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সকাল ১১টায় আয়োজনের উদ্বোধন ঘটে। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংস্থার সদস্যরা। এরপর কেককাটার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সংস্থার চেয়ারম্যান নুরুল আলম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আইয়ুব আলী হাওলাদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের উপ-পরিচালক ভবেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজ (তামিম) প্রমুখ।
এ সময় চোখের দৃষ্টি না থাকলে কি হবে, শিল্পের অনন্যতায় সুরের ঢেউ তুললেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা। দুনিয়ার আলো না দেখা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকা এই মানুষগুলো সংস্কৃতির আলোর দ্যুতি ছড়ালেন চোখ ভর্তি আলোয় ভরা মানুষের সামনে। সুরে সুরে মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে নিজেদের ঝলমলে প্রতিভার ছাপ রাখলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা। আর তাদের সেই সুরে স্নাত হয়ে মোহনীয়তার তরঙ্গে হারিয়ে গেলেন দর্শক শ্রোতারা। এমন চিত্রই ছিল জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। আলোচনা, কেককাটা, আর্থিক অনুদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনে উদযাপিত হলো জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
জমকালো এ আয়োজনে সারাদেশের ১০০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৩ হাজার করে মোট ৩ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়া ২০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে মাসিক ১ হাজার টাকা করে ২ মাসের জন্য ৪০ হাজার টাকা বয়স্কভাতা প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, ৫০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদানের পাশাপাশি ৮ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে পুনর্বাসনের জন্য আটটি সেলাই মেশিন, ১২ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে গৃহ নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, ২৪ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ৩ হাজার টাকা করে ৭২ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা, ১৪ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ৫ হাজার টাকা করে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর ৪ জন মৃতব্যক্তির দাফন বাবদ ৩ হাজার টাকা করে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৮০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সদস্যকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে ৯ লাখ টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।