দুই দশক পর বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো
দীর্ঘ দুই দশক পর বিভাগীয় শহর বরিশালের নিকটবর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠণতন্ত্র উপেক্ষা করে কোনো ধরনের সম্মেলন ছাড়াই এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক ও বিস্মিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দরা। সূত্রমতে, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের স্বাক্ষরে গত ৬ সেপ্টেম্বর ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে মো. ফায়জুল হককে। পাঁচজন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন-প্রসেনজিৎ দাস অপু, সৈয়দ জহিরুল ইসলাম মুরাদ, ওবায়দুল হক জুয়েল, খন্দকার রাজু ও নিয়াজ আহমেদ। আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফাইজুল হক বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর ঘোষিত কমিটিতে যাদের স্থান হয়েছে তারা সকলেই ত্যাগী। এই সংগঠনের প্রতি তাদের ত্যাগের বিনিময় পেয়েছেন কমিটিতে স্বীকৃতি। তবে এমন কমিটির ব্যাপক সমালোচনা করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তার-উজ জামান মিলন বলেন, ২০ বছর পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হলো সম্মেলন ছাড়াই। এটি দুঃখজনক। কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিও রয়েছে। এছাড়া অধিকাংশরই ছাত্রত্ব নেই। বিবাহিত জীবনে অনেকেই এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনে এমন কমিটি ঘোষণার পর সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে আমি বিস্মিত ও হতাশ হয়েছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত কমিটি গঠন নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সবশেষ ২০০৩ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করে আক্তার-উজ জামান মিলনকে সভাপতি ও মো. রোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দুইবছর মেয়াদি উপজেলা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আর ছাত্রলীগের সম্মেলন কিংবা নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি।