পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী মহানগরীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং রাজশাহী মহানগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
রাজশাহী আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা নগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হোন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরে এই সুনাম অর্জন করেছে এই মহানগরী। তবে এই নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে- বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের তারের জঞ্জালে। নগরের বিভিন্ন সড়ক ও গলিপথে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ল্যাম্পপোস্টে জড়িয়ে থাকা তারের জঞ্জালের কারণে আর্থিং, শর্ট সার্কিট হয়ে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্ঘটনা।
তারের জঞ্জাল কমাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মহানগরবাসী। সচেতন নগরবাসী বলছেন, তারের জঞ্জালমুক্ত আমাদের সুন্দর নগরী চাই। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন কি? নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ও ল্যাম্পপোস্টে তারের জঞ্জাল ঝুলছে। ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের তারের ভারে খুঁটিগুলো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। মহানগরীর সাহেব বাজার, জিরোপয়েন্ট, আরডিএ মার্কেটের সামনে, মনিচত্বর, রাণীবাজার, আলুপট্টি, নিউ মার্কেট, বর্ণালী মোড়, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর, লক্ষ্মীপুর মোড়, তালাইমারি, কোর্ট চত্বর, কোর্ট স্টেশন এলাকাসহ মহানগরীজুড়ে একই চিত্র। এসব তারের জঞ্জালে একদিকে নগরের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে, অপরদিকে বিভিন্ন সময় ঘটছে অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, নান্দনিক শহর গড়তে তারের জঞ্জাল সরানোর বিকল্প নেই। প্রয়োজনে তার মাটির নিচ দিয়ে নিতে হবে। তবে সেটি সময় সাপেক্ষ হওয়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ও ল্যাম্পপোস্টে ঝুলে থাকা তারের জঞ্জাল সরাতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মহানগরবাসী বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী দেশ সেরা।
আমার পরিচ্ছন্নতাই সবাই প্রশংসা করেন। এতে আমরা গর্বিত। কিন্তু যখন দেখি পরিচ্ছন্নতা শহরের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে- তারের জঞ্জালের কারণে, তখন এটি আমাদের খারাপ লাগে। তারের জঞ্জাল ঝুঁকিপূর্ণও বটে। তারের জঞ্জালমুক্ত মহানগরী গড়তে এখন রাজশাহী সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।