বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৩৯১ জন রোগী বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে বিভাগে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫। আর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৯৭ জনের। এর মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ১৫০ জন। গতকাল শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। তিনি জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশাল জেলার দুটি হাসপাতালে মোট ৪৪২ জন। এর মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬১ জন। যা নিয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৩ জন। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি ৭৩ জন। যা নিয়ে এখন মোট চিকিৎসাধীন আছেন ১৯৯ জন।
এছাড়া পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৩৫ জন। মোট চিকিৎসাধীন ১১৫ জন। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৪৮ জন। মোট চিকিৎসাধীন আছেন ১৩১ জন। ভোলা সদর হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এ নিয়ে মোট চিকিৎসাধীন আছেন ৯৩ জন। পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ৬৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। মোট ভর্তি আছেন ১৫৩ জন। বরগুনা সদর হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। মোট ভর্তি রয়েছেন ১৯৫ জন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। মোট চিকিৎসাধীন আছেন ২১ জন। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কহিনূর বেগম (৫৫) ডেঙ্গু নিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ সেপ্টেম্বর ভর্তি হন। ৮ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আয়েশা বেগম (৫০) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার লিপি (৪২) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। বরগুনার আমতলী উপজেলার অঞ্জলী রাণী (৫০) ৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হন। ৮ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বরিশালে ৩৪ জন, পটুয়াখালীতে ৪ জন, ভোলায় ৭ জন, পিরোজপুরে ৫ জন এবং বরগুনায় ৫ জনের মৃত্যু হলো। ঝালকাঠি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সচেতনতা। সচেতনতা না বাড়ালে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব না।