ববিতে একাত্তরের গণহত্যা ফিল্ড ডায়েরি প্রদর্শন

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধারণের লক্ষ্যে একাত্তরের নির্মম গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ জাদুঘর ভিজিটের ফিল্ড ডায়েরি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রদর্শন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দিনভর শিক্ষার্থীদের ফিল্ড ডায়েরিগুলো একত্রিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রদর্শন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সোশিওলজি অব ওয়ার অ্যান্ড জেনোসাইড কোর্সের শিক্ষক দিলআফরোজ খানমের উদ্যোগে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের মাঝে একাত্তরের চেতনা জাগ্রত করার অংশ হিসেবে খুলনায় অবস্থিত ১৯৭১ সালের গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ জাদুঘর ফিল্ড ভিজিট করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা ফিল্ড ভিজিট করেন। ওইসময় শিক্ষার্থীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকাররা যে নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল তার অসংখ্য নমুনা এবং আলোকচিত্র দেখে শিক্ষার্থীরা শিউরে ওঠেন। সে সময়ে কতটা মর্মান্তিকভাবে নারীদের ওপর সহিংসতা হয়েছিল তার অনেক প্রমাণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ করে। এছাড়াও জাদুঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করা কাপড়, চশমা, হাতঘড়িসহ মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন স্মারক বিশেষ করে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে ব্যবহৃত মাইকটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও রাজাকারদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেল, টর্চার সেলের নমুনা, মুক্তিযোদ্ধাদের পুড়িয়ে মারার জন্য ব্যবহৃত বয়লারের নমুনাও শিক্ষার্থীরা দেখেছে জাদুঘরে। দিলআফরোজ খানম বলেন, ফিল্ড ট্রিপ শেষে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে ফিল্ড ডায়েরি লিখতে দেয়া হয়। সেই ফিল্ড ভিজিট এবং ফিল্ড ডায়েরি প্রদর্শন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যদি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিজের মধ্যে ধারণ করে সেটাই হবে আমার এই আয়োজনের স্বার্থকতা। তিনি আরো বলেন, সোশিওলজি অব ওয়ার অ্যান্ড জেনোসাইড কোর্সের অধীনে খুব শিগগিরই মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যাবিষয়ক দিনব্যাপী ফিল্ম শোর আয়োজন করা হবে। ফিল্ড ভিজিট করা শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, পাঠ্য বইয়ে অসংখ্যবার ১৯৭১-এর গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এসব বিষয়ে এবারই ফিল্ড ভিজিটের মাধ্যমে প্রাকটিক্যাল অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।