ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো উদ্বোধন

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

গতকাল বুধবার দুপুরে পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘২২তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’, ‘২০তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো’ এবং ‘৪২তম ডাই+ক্যাম বাংলাদেশ ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ সিরিজ অব এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণের উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দক্ষ, স্মার্ট ও প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পোশাক খাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। এজন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। এরইমধ্যে, সরকার ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী বস্ত্র খাতের সব অংশীজনদের নীতি সহায়তা প্রদান করছে। আমি আশা করি, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বস্ত্র খাত আরো আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সর্বদা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে উদার ব্যবসায়িক নীতি অনুসরণ করছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বন্দর সুবিধা উন্নতকরণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। দেশের মানুষ তার সুফল এরইমধ্যে ভোগ করছে। তিনি আরো বলেন, পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহুমুখীকরণ করে রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত অনেক উন্নত দেশের চেয়ে অনেক ভালো করেছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত দূরদর্শী নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আমাদের আরো শক্তিশালী করতে সরকারের ধারাবাহিকতা জরুরি। আমরা ২০৪১ সাল বা তারো আগে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পৌঁছাতে পারি। এদিকে জানা গেছে, এই প্রদর্শনীতে ২, ২৪৫ এর অধিক বুথসহ ৩৭টি দেশের প্রায় ১, ৬৭৫টিরও বেশি কোম্পানি প্রতিনিধিত্ব করছে। এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল মেশিনারি, ইয়ার্ন, ফ্যাব্রিক, ট্রিমস, অ্যাকসেসরিজ, ডাইস্টাফ এবং টেক্সটাইল কেমিক্যালসসহ সর্বাধুনিক টেক্সটাইল পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সমগ্র টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পের ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য অত্যাধুনিক এবং নিত্য-নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এটি একটি ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই প্রদর্শনীগুলো টেক্সটাইল শিল্প সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক নির্মাতাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ প্রদান করছে; যা, প্রতিযোগিতামূলক অ্যাপারেল সোর্সিংয়ের বিশ্ব বাজারে লাভজনক লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আয়োজকদের অভিমত। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’র টেক্সটাইল সিরিজের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- ‘ইনোভেশন অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি’ প্রদর্শন করা।