প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের চেয়ারম্যান ও ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি. এমএ আউয়াল বলেছেন, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায়। জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যখন বাংলাদেশ দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলেছে তখনই দেশ-বিদেশে চলছে চক্রান্ত, চলছে বাংলাদেশকে আবারো পেছনে টেনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র। তিনি আরো বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামী জোট ৩০০ আসনে অংশগ্রহণ করবে বলে ঘোষণা দেন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সকালে প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এম.এ আউয়াল এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব, সাবেক পিপি এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম খান। সাবেক সংসদ সদস্য এম.এ আউয়ালের নেতৃত্বে প্রগতিশীল ইসলামী জোটে রয়েছে ১৫টি রাজনৈতিক দল।
দলগুলো হচ্ছে- ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামী ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজিপি), ইসলামিক লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ইসলামী জোটের ১০ দফা দাবিনামা ঘোষণা করা হয় এবং দাবিগুলো বাস্তবায়নে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই ৩ (তিন) মাসব্যাপী ধারাবাহিকভাবে প্রগতিশীল ইসলামী জোট বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে শরীকদলগুলোর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ হাফেজ মাওলানা হারিছুল হক, মো. আতাউল্লাহ খান, মুফতী মাহাদী হাসান বুলবুল, প্রফেসর কাজী মহিউদ্দিন সৌরভ, খন্দকার এনামুল নাছির, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি, মো. নাঈম হাসান, ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল, মো. আখতার হোসেন, হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।