ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটার

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটার

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারায় রাজশাহীতে নির্মিত হলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার। এর মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। তবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর। শিক্ষানগরী, সিল্কসিটি ও আমের অঞ্চল বলে পরিচিত রাজশাহীর পর্যটন খাতে নভোথিয়েটার নতুন একমাত্রা যোগ করেছে। একসঙ্গে দেড়শত জন আসনগুলোতে বসে অসীম মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে ও দেখতে পারবেন।

দিনে অন্তত ৬ থেকে ৭টি শো চালানো সম্ভব বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে শিশুরা বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হবে। বিজ্ঞানমনস্ক জ্ঞান পিপাসুরা আধুনিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে নভোমন্ডল প্রত্যক্ষ ও গবেষণায় যুক্ত হতে পারবেন। ২০১৮ সালে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্দ্যান ও চিড়িয়াখানার সামনের অংশে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নির্মাণকাজ। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়। নভোথিয়েটরটা নির্মাণে ব্যয় ২৩২ কোটি টাকা। প্রকল্পে শুধু ভবন তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা আর বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে নভোথিয়েটারের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য খাতে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যেগে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণের এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। নভোথিয়েটারটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে এটি চালু হলে দর্শনার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হবে মনে করেন স্থানীয়রা। রাজশাহী গণপূর্ত অধিদপ্তর-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, ঢাকার বাইরে প্রথম রাজশাহীতে নভোথিয়েটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

এটা ২০১৮ সালে শুরু হয় আমরা এ বছর কাজটি শেষ করেছি। এখন ধোঁয়া-মুছার কাজ চলছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার কর্তৃপক্ষ যখন যেভাবে চাইবে, সেভাবে এটা উদ্বোধন হবে। এই প্রকল্পটির সব মেশিনারি দেশের বাইরে থেকে আসছে।

এই নভোথিয়েটারটি নির্মাণের ফলে উত্তরবঙ্গের যত শিক্ষার্থীরা রয়েছে, তারা বিনোদনের মাধ্যেমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হবে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, রাজশাহীতে যেটি হয়েছে এটি; কিন্তু ডিজিটাল নভোথিয়েটার এবং ঢাকার চেয়েও আধুনিক এবং সঙ্গত কারণে আরো বেশকিছু নতুন নতুন উপাদান সংযুক্ত করা হয়েছে। বলা যেতে পারে যে- রাজশাহী বিভাগ, রংপুর বিভাগ, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্কুলকলেজের ছেলেমেয়েরা তারা বিভিন্ন সময় শিক্ষা সফরে রাজশাহীতে যখন আসে, তারা তখন নভোথিয়েটারটি দেখে যাবে এবং রাজশাহীকে আমরা শিক্ষানগরী বলে মনে করি। আমি আশা করি, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনাময় প্রজেক্ট এই প্রজেক্টের মাধ্যমে এ এলাকার উত্তরের মানুষ, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত