খুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল

গতি নেই কাজের যদিও মেয়াদ শেষ

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

খুলনায় প্রথম ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজের গতি নেই। কার্যাদেশের ২ বছরে কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ। এরই মধ্যে ফুরিয়েছে মেয়াদ। ফলে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এই ভবনে শুধু ক্যান্সার রোগীদের সেবাই নয়, সেবা পাবে কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের পৃথক ৩টি ইউনিট হবে। হাসপাতালের বহির্বিভাগের পেছনে ২৩২৫০.৪৬ বর্গমিটার জমিতে দুইটি বেজমেন্ট ফ্লোর ও ১৫তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবন নির্মাণের জন্য এমবিপিএল ও এসএনবিপিএল (জেভি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের চুক্তি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর। ২০২৩ সালের ৩১ এপ্রিলের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এগিয়েছে ২১ শতাংশ।

গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ-২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পের ডিপিপি মূল্য ১৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা চুক্তি মূল্যে বেজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। যার ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে গণপূর্তের দাবি। জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্ট ও ১৫ তলা ভবনসহ ১৭ তলা পাইল ফাউন্ডেশন হবে। বেজমেন্ট-২ থেকে ৭ম তলা পর্যন্ত হবে ক্যান্সার ইউনিট। এতে থাকবে লিনিয়র এক্সলেটর, সিটি সিমুলেটর, ব্রাকিথেরাপি, কেমো থেরাপি। ৮ম তলা থেকে ১১ তলা পর্যন্ত হবে কিডনি ইউনিট। এখানে থাকবে কিডনি ডায়ালাসিস ইউনিট, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট ওটি, পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট, আইসিইউ।

আর ১২ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত হবে হৃদরোগ ইউনিট। এই ইউনিটে থাকবে সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক ওটি, পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি, ক্যাথ ল্যাব।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় থাকবে র‍্যাম্প, চলন্ত সিঁড়ি এবং কোভিড-১৯ এর লিফট ইত্যাদি। থাকবে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), ৩০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ১০০০ কেভিএ জেনারেটর, লিফট, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএন বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক শেখ দাউদ হায়দার বলেন, প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও জমিতে স্থাপনাসহ নানা জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ গোলাম কুদ্দুস বলেন, দুটি বেজমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতি মাসে ভবনের একটি করে ছাদ ঢালাই দেওয়া সম্ভব। একদিকে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলবে, অন্যদিকে ফিনিশিংয়ের কাজ চলবে। দ্রুত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।