বাবার চাকরি ফিরে পেতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় শারমিন
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
‘বাবার চাকরি ফিরিয়ে দিন, ভয় আতঙ্ক আমাদের গ্রাস করছে!’। ব্যস্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এমন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বাবার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানান প্রতিবন্ধী কিশোরী শারমিন হক। গত রোববার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে এমন আকুতি জানান শারমিন। নিজের ফুফার করা মামলায় তার ব্যাংকার বাবা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শারমিনের বাবা মাইনুল হক ময়মনসিংহের তারাকান্দা শাখা সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে ভগ্নিপতি আবু ছিদ্দিক খানের করা মামলায় প্রায় ১ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন অফিসার মাইনুল। তাই বাবার চাকরি ফেরত চেয়ে তার একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়ে শারমিন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত রোববার বেলা ১১টা থেকে তার প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বাবার জন্য মেয়ের এমন আকুতি দেখে জড়ো হয় আশপাশের মানুষ। শারমিন হক বলেন, গত ১ বছর ধরে বাবার বাবা-মা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। তা দেখে নিজেও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। আমাদের হাসি-খুশি সংসারটা ফুফার করা মিথ্যা মামলায় এলোমেলো হয়ে গেছে। আমার দাবি সরকারসহ সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে বাবার চাকরিটি ফিরিয়ে দেবে। আমি আমার বাবা-মাকে সুখী দেখতে চাই। শারমিন হকের মা নাসরিন হক নূপুর বলেন, আমার স্বামী মাইনুল হক তার পৈত্তিক সম্পত্তি থেকে ছয়টি ফ্ল্যাট পান। আমরা সেই ফ্ল্যাটের কাজ কেন সম্পন্ন করেছি এনিয়ে বিরোধে আমার স্বামীর ভগ্নিপতি ফৌজদারী মামলা করে। এতে ব্যাংক আমার স্বামীকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এরপর থেকে তারা (স্বামীর ভগ্নিপতি) বিভিন্নভাবে হুমকিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে নিয়েও নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে রক্ষা করতে তাদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমি বাদী হয়ে মামলাও করি।