তৃণমূল বিএনপি
তারেকের কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ
বললেন শামীম ওসমান
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব গতিতে চলে। বিএনপি ভাঙলো কি গড়লো, বিএনপির কী হলো কী না হলো তাতে অওয়ামী লীগের কিছুই যায় আসে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুটো জিনিসের ওপর ভরসা করে। এক সৃষ্টিকর্তা, দুই জনগণ। গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের কালীর বাজার এলাকায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশে অংশগ্রহণ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা দুটি জিনিসের ওপর ভরসা করেন। সৃষ্টিকর্তা ওনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা থেকে বাঁচিয়েছেন এবং অপরটি হলো জনগণ। যাদের দোয়ায় উনি বেঁচে আছেন এবং যাদের ভোটে উনি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জনগণের সমর্থনে সরকার গঠন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। আমরা বিশ্বাস করি জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। এর বাইরের কোনো শক্তি কিংবা অপশক্তি কী করল, তা আমরা পরোয়া করি না। তিনি বলেন, আমি বারবার একটি কথা বলেছিলাম এবং আমার এই মন্তব্য নিয়ে বিএনপির লোকেরা আমাকে তিরস্কারও করেছিলেন। আমি আগেই বলেছিলাম, বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। একটি হলো আম্মা গ্রুপ এবং অপরটি হলো ভাইয়া গ্রুপ। আম্মা গ্রুপ যারা তারা এখন ভাইয়া গ্রুপের অত্যাচারে ও লাথি খেয়ে সাইড লাইনে চলে গেছে। এরই বহিঃপ্রকাশ ‘তৃণমূল বিএনপি’। সব দলেই ভালো খারাপ আছে। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখেছি কালাম সাহেব, জালাল হাজী সাহেব ও তৈমূর আলম সাহেবসহ যারা এখানে বিএনপিকে সংগঠিত করেছে, যদিও আমি তাদের আদর্শকে পছন্দ করি না, তবে এরাই পরিশ্রম করেছে বিএনপিকে নারায়ণগঞ্জে সংগঠিত করতে। কিন্তু এই লোকগুলোকেই সময় মতো ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, আমার মনে হয় লন্ডন থেকে বসে যিনি দেশ চালানোর চেষ্টা করছেন, ওনার লক্ষ্য রাজনীতি করা নয়, ওনার লক্ষ্য হলো এই দেশটাকে অকেজো বা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কারণেই একটি অকার্যকর রাষ্ট্র করার জন্য যে ধরনের নেতৃত্ব দরকার, উনি তাদের বেছে নিয়েছেন। তার এই ধরনের লোকদের বেছে নেওয়ার কারণেই আমার মনে হয় এসব ত্যাগী লোকেরা বিএনপি থেকে বেড়িয়ে এসেছেন। এটা তো মাত্র শুরু হলো, আমার মনে হয় আরো বহু লোক এই দলের অপরাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসবেন। যারা ২০১৩-১৪ সালে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, যারা মানুষের সম্পদ জ্বালিয়েছে, যারা আগুন দিয়ে ৫০০ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে।