সরকারের নড়েচড়ে বসার পরই বাজারে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে এক থেকে দুই টাকা আর সপ্তাহের হিসাবে তা কমেছে চার থেকে ছয় টাকা। আলুর দামও কিছুটা কমেছে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু, পেঁয়াজ ও ডিম।
এদিকে গত কয়েকদিন খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ সরকার গত তিন দিন আগে ঘোষণা দেন প্রতিকেজি আলু ৩৫-৩৬ টাকা, পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা ও প্রতিহালি ডিম ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য সয়াবিনের দাম রয়েছে এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। গত রোববার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভোজ্য সয়াবিন ফ্রেশ (৫ লিটার) ৮৫০ টাকা, তীর (৫ লিটার) ৮৫০ টাকা, বসুন্ধরা (৫ লিটার) ৮৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় রসুনের দাম হু-হু করে বেড়েই চলেছে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ দুই মাস আগেও প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দবে। নগরীর গল্লামারী বাজারে সবজি ব্যবসায়ী হেলাল হোসেন বলেন, সবজির দাম ওঠা-নামা করছে। তিনি বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আছে।
অপর ব্যবসায়ী জয়নাল বলেন, প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে পাইকারি কিনতে হয়েছে। কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল হামিদ বলেন, সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার নির্ধারণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না। পূর্বের দামেই কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।