গার্মেন্ট কর্মীদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের তৈরি পোশাক খাতে কর্মশক্তির স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে টেকসই করতে বিভিন্ন সংস্থার পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। তারা বলেছেন, পোশাক খাতে কর্মীদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘কর্মশক্তির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। ইন্টিগ্রাল গ্লোবাল, বিজিএমইএ ও জেসিএম ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়াত এডুকেশন এ গোলবৈঠকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের পরিচালক তুমো পুতিয়েনাইন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, জেসিএম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও কর্মসূচি পরিচালক ড. লিলিয়ান লু, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রামেশ সিং, আইএলওর প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানী, এইচএন্ডএমের রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ। আইএলও’র বাংলাদেশের পরিচালক তুমো পুতিয়েনাইন বলেন, পোশাক খাতের জনবলের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আরো গণতান্ত্রিক করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে, তা কমাতে হবে। তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ভ্যাকসিন প্রদান, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা প্রশংসাযোগ্য। রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বের পাশাপাশি উপযুক্ত ডাটাবেজ তৈরি করে পোশাক খাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আশা খুবই জরুরি। এটা শিল্প-কারখানার পরিবেশ উন্নত করা ও কর্মীদের উপযুক্ত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কর্মীদের সাস্থ্য ও সুস্থতা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি পোশাক খাতের শিল্প-কলকারখানায় গত এক দশকে আমরা বড় পরিবর্তন এনেছি। বিশ্বের অন্যতম গ্রিন ফ্যাক্টরির পাশাপাশি শতাধিক উন্নতমানের কারখানাও আমাদের দেশে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টিগ্রাল গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আয়াত এডুকেশন ও আইজির বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান বলেন, পোশাক খাতের কর্মীদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুধু বাইরের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। আমাদের সবার পারস্পরিক সহযোগিতায় কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।