গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের আকস্মিক বন্যা প্লাবিত হাওর অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি নতুন জাতের ধান চাষ সম্পর্কিত কৃষকের দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কাজী তামিম রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া। প্রকল্পের কো-পিআই এগ্রিবিজনেস বিভাগের প্রফেসর ড. দেবাশীস চন্দ্র আচার্য্যে সঞ্চালনায় শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাদিক রহমান প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গবেষণাটি হাওর এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আকস্মিক বন্যা মোকাবিলায় ব্রি ধান-২৮-এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৮ চাষের আওতায় জমির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে।
গবেষণার ফলাফল সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সহায়ক হবে। কর্মশালার বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ নতুন এ প্রকল্পের অর্জনগুলো কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে এবং নীতি-নির্ধারণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মতপ্রকাশ করেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে বলেন, হাওর অঞ্চলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি বিএআরআই, ব্রি, বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার, শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ-গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।