নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিচালিত ভাগ্য গঠনে একটি বিশেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আমাদের শক্তির ৪০ শতাংশ অর্জনের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে ভূমিকা রাখবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা থেকে আমাদের মুক্ত করতে পারে। এর পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করতে পারে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দেশের নির্ভরতা কমানো ও এর পরিবেশগত প্রভাব প্রশমিত করা, পরিচ্ছন্ন শক্তির সম্ভাবনার দিক উন্মোচনের জন্য দক্ষতা, প্রযুক্তি ও আর্থিক সংস্থানগুলোকে কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল শনিবার দুপুরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের একটি সুযোগ’ প্রতিপাদ্যে ‘প্রিজার্ভ প্ল্যানেট আর্থ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স’ শীর্ষক সম্মেলন এ আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলনটির আয়োজন করে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি)। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স প্রিজার্ভ প্ল্যানেট আর্থ, ঢাকা-২০২৩’র লক্ষ্য হলো- নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তা পূরণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইইই) প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক সাইফুর রহমান, আইইউবির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক ও জলবায়ু বিজ্ঞানী প্রফেসর ডক্টর সেলিমুল হক। আইইইই’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও অধ্যাপক সাইফুর রহমান বলেন, ১৯৫০ সালের পর থেকে যখন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা কয়লায় ব্যবহার বেড়ে যায় তার পর থেকেই পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ অতিরিক্ত আকারে বাড়তে থাকে। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত প্যারিস কনফারেন্স পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যেন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা যদি ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যায় তাহলে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব না। সব কিছুই আমাদের আওতার বাইরে চলে যাবে।