পর্যটকরা ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেখলে এখন স্বস্তি পায়
বললেন আইজিপি
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পর্যটকদের সেবায় ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্যাপক কাজ করছে দাবি করে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বিভিন্ন আঙ্গিকে ট্যুরিস্ট পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেখলে পর্যটকরা এখন স্বস্তিবোধ করেন। রাত ১০টার সময় এখন আর হোটেলে পর্যটকদের ঢুকতে বাধ্য করা হয় না।
পরিবর্তন এসেছে। গতকাল সোমবার সকালে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ৩৫ তোপখানা রোডে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি ও ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হাবিবুর রহমান। আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠনের পর জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ২০১৩ সালে ছিল ২.৯ শতাংশ। সেখানে ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৪৪ শতাংশ। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না, আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরো গতিশীল ও সেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছি। পর্যটন খাতের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এ খাতে ২০১৫ সালে কর্মসংস্থান ছিল ১৭ লাখ, ২০২২ সালে তা হয়েছে ৪০ লাখ। পর্যটন থেকে রাজস্ব খাতে ২০১৩ সালে আয় ছিল ৬১৩ কোটি টাকা, ২০২১ সালের তথ্যানুযায়ী হয়েছে ২২৭৯ কোটি টাকা। ভ্রমণ পর্যটনে বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশ ২০১৭ সালে ছিল ১২৩তম অবস্থানে। সেখানে এখন হয়েছে ১০০তম দেশ। আমাদের অবস্থান এগিয়েছে। ২০১৭ সালে দেশি পর্যটক দেশি বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভ্রমণ করেছে এক কোটি ৩৬ লাখ, ২০২২ সালে তা হয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ। ২০১৭ সালে বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে ১ লাখ ৩৭ লাখ। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার। এই বৃদ্ধিই প্রমাণ করে আমাদের পর্যটন খাত এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে আরো ট্যুরিস্টবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশের পর্যটন খাত বিকশিত হচ্ছে। যে কারণে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওপর দায়িত্ব ও প্রত্যাশাও বাড়ছে। আইজিপি বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে অনেক বেশি এগিয়ে যাওয়া দরকার। যে কেউ ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ সেবা দিচ্ছে। চোরও ধরা পড়ার পর মারধর থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাইছে। সাগরে আটকেপড়া জেলেরাও ফোন করে উদ্ধারে সহযোগিতা নিচ্ছে। যেভাবে বিকশিত হওয়া দরকার, প্রত্যাশার সঙ্গে আমাদের সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি।