৪ নভেম্বর মহাসমাবেশ করবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্য বিলোপ আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ। এমনকি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৪ নভেম্বর মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ ও ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চা আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বায়ক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে বেশ কয়েকটি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে, যা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকার দলের এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
ফলে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চা পর্যায়ক্রমিকভাবে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে। সর্বশেষ, গত ৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিভাগভিত্তিক জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচি একটানা ৩৪ ঘণ্টা চলার পরপরই আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনশনস্থলে এসে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার আশ্বাস দেন। এমনকি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলেও জানান। রানা দাশ গুপ্ত আরো বলেন, সেসময় বৈষম্য বিলোপ আইন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছে, দেবোত্তর সম্পত্তি আইনটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আছে এবং সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের কাজটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে আমাদের আশ্বাস দেন কবির বিন আনোয়ার।