সরকারের নির্ধারিত মূল্যের থেকে আরো ১ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। গত রোববার থেকে রংপুর নগরীতে ট্রাকে করে এ আলু বিক্রির করা হচ্ছে। রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বণিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমিতি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন নগরীতে ৪ ট্রাকে ৩ টন করে ১২ টন আলু খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। এরমধ্যে নগরীর কাচারিবাজার, জাহাজকোম্পানি মোড় ও শাপলা চত্বরে স্থায়ীভাবে ট্রাকে করে আলু বিক্রি হবে। একটি ট্রাক ভ্রাম্যমাণ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি করবে। এদিকে আলু কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে ৪৫-৫০ টাকা আলু কিনতে হচ্ছে। এখানে ৩৫ টাকা কেজিতে আলু কিনতে পারছি। তাতে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। আলেয়া খাতুন বলেন, বাজারে চড়া দামে আলু কিনলেও ১ কেজি আলুতে ২-৩টা পচা আলু পাওয়া যায়। এখানে ফ্রেশ আলু পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বদিচ্ছা থেকে খোলাবাজারে ৩৫ টাকা দরে আলু বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এটি কোল্ডস্টোরেজে যতদিন আলু থাকবে, ততদিন এইভাবে আলু বিক্রি করা হবে। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, বাজারে আলুর অস্থিরতা রোধে ইতোমধ্যে কোল্ডস্টোরেজ মালিক ও ব্যবসায়ী এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। বাজারে আলুর দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরমধ্যে রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে।