গতকাল সোমবার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পরিবেশের উপর ইটিপি পরিচালনার প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন যন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা সুষ্ঠু মনিটরিং’-এর আওতায় আনা উচিত। এজন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। ইটিপি বন্ধ রেখে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে নদ-নদী ও কৃষি জমি ধ্বংস করা মারাত্মক অপরাধ। দূষণজনিত মানুষ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির জন্য এসব অপরাধীকে মহান স্রষ্টার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ইটিপি বন্ধ রেখে বিষাক্ত শিল্প বর্জ্য ফেলে বহু শিল্প কারখানার মালিক অনৈতিক মুনাফার মাধ্যমে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছে। এসব অপরাধ বন্ধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। বহু মেধাবী প্রকৌশলী কর্পোরেট কোম্পানিতে চাকরি করে মালিকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দাসে পরিণত হয়েছে। তারা বিবেক বিসর্জন দিয়ে ইটিপি চালানো বন্ধ রাখছে। এমনকি ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ রিপোর্ট দাখিল করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান এবং বিজ্ঞান জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর মো. তৌহিদুল হাসান।