রংপুরে ৫০ লাখ ছাগল ভেড়া পাবে পিপিআর টিকা

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুর জেলায় ৫০ লাখ ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর টিকা দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতায় পিপিআর রোগের টিকা কার্যক্রমের ক্যাম্পাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার, রংপুর ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার এনামুল হক, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. রহমত আলী, গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন মিয়া প্রমুখ।

রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরে পরিচালকের কার্যলয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫০ লাখ ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর টিকার আওতায় আনা হবে। এর মধ্যে রংপুর জেলা ৭ লাখ ভেড়া ছাগল এ টিকা পাবে। পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগল-ভেড়ার শরীরের তাপমাত্র হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায়। ছাগলের নাক, মুখ, চোখ দিয়ে প্রথমে পাতলা তরল পদার্থ বের হয়। পরবর্তীতে তা ঘন ও হলুদ বর্ণ ধারণ করে। অনেক সময় অসুস্থ প্রাণীটির মধ্যে মারাত্মক রকমের ডাইরিয়া দেখা দিতে পারে। অসুস্থ প্রাণীটির ওজন হ্রাস পায়। পিপিআর আক্রান্ত ছাগলে, অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অসুস্থ হওয়ার পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে প্রাণীটি মারা যেতে পারে। পিপিআর রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে ২য় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়ার এবং পরজীবী সংক্রমণ রোধ করে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়।

রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, আমাদের অনেক সেবা আছে। কিন্তু জনবল অভাবে প্রত্যন্ত এলাকায় সেইভাবে পৌঁছাতে পারি না। ছাগল পালনকারী যে এক হাত এগিয়ে আসেন, আমরা ১০ হাত বাড়িয়ে দেব। গরিবের একটি ছাগল একটি গরুর সমান। যার একটি ঘর সেও চৌকির নিচে ছাগল পালন করে। আর পিপিআর রোগ বেশি ছাগলেরই হয়। তাই পশুপালনকারীদের সচেতন থাকতে হবে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ভাইরাসজনিত এসব রোগের নিয়মিত টিকা নিতে হবে। সারা বছর আমাদের হাসপাতালগুলোতে পিপিআর রোগের টিকা পাওয়া যায়। যে কোনো সময় সেখানে টিকা নিতে পারেন। আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা ছাগল-ভেড়াকে টিকার আওতায় আনা হবে।