ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিজিটাল কানেক্টিভিটি টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

ডিজিটাল কানেক্টিভিটি টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ব্রডব্যান্ড সংযুক্তির বিস্তার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক রাখছে। দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্লাটফর্মে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ২৪তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরস কাউন্সিলের (এসএটিআরসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশকে ডিজিটাল সংযুক্তির স্বপ্ন দেখান। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। স্পিকার বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এসএটিআরসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে একে অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা, স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সেবায় তরঙ্গ ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক এবং কর্মকৌশল নিয়ে কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, আয়োজক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার নয়টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত