আজ থেকে চট্টগ্রামের দুই শহরে (বন্দরটিলা ও দক্ষিণ হালিশহর) বসবাসকারীদের কলেরা টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এর আগে এলাকাবাসী যেসব কেন্দ্র থেকে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, সেসব কেন্দ্র থেকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। গতকাল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বন্দর থানার অধীনে ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর) বসবাসকারীদের যারা সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ডোজ কলেরা টিকা নিয়েছেন তাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। এর আগে এলাকাবাসী যেসব কেন্দ্র থেকে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, সেসব কেন্দ্র থেকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। টিকা প্রদান চলবে ৮ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসে (সেপ্টেম্বর) মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৩ জন ব্যক্তি টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। শুধুমাত্র প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিরাই টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার জন্য যোগ্য। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে, ৫ বছরের কম বয়সি ১৫ হাজার ৫৭ জন ছেলে শিশু এবং ১৪ হাজার ৫৮২ জন মেয়ে শিশু ছাড়াও ৬ বছরের বেশি ৫২ হাজার ৭৭৭ জন পুরুষ এবং ৫২ হাজার ৮০৭ জন মহিলা প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা ১ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সিদের প্রদান করা হবে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরোশেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ইপিআই ও আইসিডিডিআর,বির বাস্তবায়নে টিকা প্রদান কার্যক্রমটি চলছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কলেরা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগ্রহ দেখে আমরা সত্যিই আনন্দিত। যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে টিকার কোর্স সম্পূর্ণ করার জন্য আমি অনুরোধ করছি। আশা করি, আগামী ২ বছর এবং তারও বেশি সময় ধরে টিকা গ্রহীতারা কলেরা-জীবাণু দিয়ে যে ডায়রিয়া হয় তা থেকে সুরক্ষা পাবেন।
