ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছ থেকে গৃহীত ঋণের আরেক কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে। গত ০৮ অক্টোবর তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকা ওয়াসার ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের ডেবট সার্ভিস লায়াবিলিটিস বা ডিএসএল চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, সম্মানিত অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। এসব ঋণের টাকা ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এখন প্রতি বছর দুই কিস্তিতে ৬৮০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। এ বছরের প্রথম কিস্তি বাবদ ৩৪০ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই পর্যন্ত দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ঋণ পরিশোধের এ উদাহরণকে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতার দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলা গেলে আমাদের জাতীয় উন্নতির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সহজ হবে।’ তাজুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পথনকশা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা, সক্ষমতা এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত হলেই বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকলে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে তবেই জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তাজুল ইসলাম এ সময় ওয়াসার পানির জন্য ভর্তুকির বিরোধিতা করে বলেন, ‘আমাদের আরো অনেক জনকল্যাণমূলক বিষয় এবং প্রকল্প রয়েছে যেখানে ভর্তুকি দেওয়া অধিকতর যুক্তিসঙ্গত কারণ তাতে অনেক মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। তারপরও ভর্তুকি যদি দিতেই হয় তা দরিদ্র ও অক্ষম মানুষের পাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। মন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন রাষ্ট্র কেন ধনী ও সক্ষম মানুষের পানির বিলের অর্থ জোগান দেবে। এ ধরনের মনমানসিকতা আমাদের পরিহার করা উচিত বলেও জানান তিনি।